চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঠাকুরপুর গ্রাম। প্রতি বছরের বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন বার্ষিক ইছালে ছওয়াব ও হালকায়ে জিকিরের তথা বার্ষিক ওরশ আয়োজন করে এলাকাবাসী। খাতা-কলমে এবার ৮৮ বছর হলেও প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান প্রায় ৩শ বছর ধরে হয়ে আসছে।
কালক্রমে অবশ্য নামও পরিবর্তনের সূত্রপাত ঘটেছে। স্থানটি কালক্রমে পীরগঞ্জ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। নাম পরিবর্তন অবশ্য স্থানীয়দের প্রচেষ্টারই ফসল। ঠাকুরপুরের নাম পীরগঞ্জ করার আড়ালে নিহীত রয়েছে ওই বিশাল আকৃতির গম্ভুজ মসজিদটি। ইসলামধর্ম প্রচার করার জন্য যুগে যুগে এলাকায় আলো ছড়িয়েছেন যারা, তাদেরই একজন ছিলেন আফু শাহ্। নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও ১৬৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাথাভাঙ্গা, নবগঙ্গা বেয়ে তিনি যে স্থানটি পছন্দ করে নোঙর গাড়েন, মালসামিয়ানানামিয়ে আস্তানা গড়ে তোলেন, সেই স্থানটির নাম তখন ছিলো ঠাকুরপুর, এখন পীরগঞ্জ। এখানেই রয়েছে বড় গম্ভুজের মসজিদ। হযরত আফু শাহ ছিলেন সাধক পুরুষ। গুণীজন। তাকে নিয়ে বহু কিংবদন্তী রয়েছে। কথিত রয়েছে তারই বিশেষ গুণে মসজিদটি এক রাতেই নির্মিত হয়। এ মসজিদের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ণ রেখেই পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রসারণের পাশাপাশি আধুনিকায়নেরও ছোঁয়া লেগেছে বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিশেষ উদ্যোগে। প্রধান ফটকটি টাইলস দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যেমন, তেমনই মসজিদের অভ্যন্তর অংশেও লাগানো হয়েছে টাইলস। এ মসজিদেই প্রতিবছর ইছালে ছওয়াব হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়।
অবস্থান:
গ্রাম-ঠাকুরপুর ডাকঘর- চুয়াডাঙ্গা। উপজেলাও জেলা চুয়াডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা ৭২০০।
কিভাবে যাওয়া যায়:
চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে ঠাকুরপুর গ্রামে অবস্থিত ঠাকুরপুর জামে মসজিদ চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে পুর্ব দিকে বাস অথবা অটোবাইক যোগে যাওয়া যায়।