Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

খেলাধুলা ও বিনোদন

হাডুডু :

হাডুডু গ্রামবাংলার বহুল প্রচলিত খেলা। বিশেষ জনপ্রিয়তার কারণে এটি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। হাডুডু বীরত্বের খেলা। এ খেলা এককভাবে বিপক্ষের সম্মিলিত আক্রমণের সম্মুখীন হয়ে তাদের পরাজিত করে বিজয়ী বেশে ফিরে আসার মধ্যে যথেষ্ট শারীরিক শক্তি, কৌশল, ক্ষিপ্রতা ও শৌর্যবীর্যের প্রয়োজন।

বুড়িছুট :

বুড়িছুট একটি জনপ্রিয় খেলা। এই খেলায় প্রাচীনকালের বিবাহ রীতির ছায়াপাত লক্ষ্য করা যায়। এই খেলায় দুটি দল থাকে। কিশোর-কিশোরীরাই প্রধানত এ খেলায় অংশ নেয়। এক পক্ষের একজন খেলোয়াড় বুড়ি বা বৌয়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। বিপরীত পক্ষের খেলোয়াড়দের কাজ হল বুড়ি বা বৌকে পাহারা দেওয়া। বৌপক্ষের একজন খেলোয়াড় একটা ছড়া বা শব্দ একটানা দম বন্দ করে উচ্চারণ করতে করতে বৌয়ের পাহারাদারদের ছুঁয়ে মর করার চেষ্টা করে। উদ্দেশ্যে আটকে রাখা বুড়ি বা বৌকে উদ্ধার করা।

 এক্কাদোক্কা :

মেয়েদের সর্বাধিক প্রচলিত একটি যদি হয় চু কিৎ কিৎ, তবে অন্যটি নিঃসন্দেহে এক্কাদোক্কা। এমন বাঙালি মেয়ে পাওয়া যাবে না যে নাকি এই দুটো খেলার একটিতেও অংশ নেয়নি।

 লাঠিখেলা :

মহররম উপলক্ষে যুবকরা লাঠি হাতে দলবদ্ধভাবে এই খেলা পরিবেশন করে থাকে। লাঠির তালে ঢোল, কাঁসর বাজানো হয়। লাঠিয়ালরা আঁটসাঁট রং-বেরঙের যোদ্ধার পোশাক পরে, হাত ও মাথায় লাল কাপড় বেঁধে, পায়ে নূপুর পরে, হাতে মেকি তরবারি, ছোরা ও বড় থালা ব্যবহার করে যুদ্ধের ভঙ্গিতে এই খেলা পরিবেশন করে থাকে। মুসলিম সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় আবেগকে এই খেলার মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে আশুরা উপলক্ষে।

 ঘুড়ি ওড়ানো :

ঘড়ির জনপ্রিয়তা পৃথিবীব্যাপী। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও ঘুড়ির জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। ঘুড়ি উড়ানো খুবই পুরানো খেলা। গ্রিসে ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর কথা জানা যায়। প্রায় সেই একই সময়ে চীন দেশে ঘুড়ি ওড়ানোর খবর ইতিহাসে পাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, এশিয়ার আদি অধিবাসীরাই প্রথম ঘুড়ি তৈরি করে এবং ওড়ায়। আমাদের দেশে প্রধানত শিশু-কিশোররাই ঘুড়ি উড়িয়ে থাকে। তবে মধ্য বয়সী লোকজনকেও ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যায়।